Sujoyneel

পুনর্জন্ম

লক-ডাউন আমাদের অনেককিছু শিখিয়ে দিয়ে গেল। যে শেখাটা মানুষের এমনিতেই আসা উচিত – সেটা এতবড় ধাক্কাটা শিখিয়ে দিয়ে গেল। মার্চের শেষে যখন করোনা পরিস্থিতির জন্যে অক-ডাউন এলো আমরা সবাই ভেবেই নিয়েছিলাম – এই তো কটা দিন। এভাবেই কাটিয়ে দেওয়া যাক! এই আমারই কথা যদি বলি – একদিন যাক দুদিন যাক করে করে টানা দু’মাস বাড়ি থেকেই বেরোইনি। প্রত্যেকের জীবনেই ছুটির দরকার ছিল হয়তো ইয়ার-এন্ডের মাসটায়। সাংঘাতিক চাপের মুখে একদিনের জনতা কার্ফিউ বা তারপর এক সপ্তাহ সম্পূর্ণ লক-ডাউন একটা ফ্যামিলি পিকনিকের আমেজ এনে দিয়েছিল। কিন্তু, তা আসলে জেলখানায় বদলে গেল কয়েকদিনেই। যদিও কিছু মানুষ এখনো লক-ডাউন মানেন না; তখনও মানতেন না। তাঁদের কথা এ লেখায় আনতেই চাই না। বলতে চাইছি তাঁদের কথা – যারা লক-ডাউনটা স্ট্রিক্টলি পালন করতে গিয়ে নিজেদের সাংঘাতিক ডিপ্রেশনের মধ্যে নিহিত করেছেন।

আসলে, এই রেক্টিফিকেশনটার প্রয়োজন ছিল হয়তো। আমাদের উশৃঙ্খল জীবন যাপনের মাঝে নিজেকে শুধরে নেওয়ার এই জায়গাটার হয়তো সত্যিই প্রয়োজন ছিল। যেখানে নিজেকে চেনা গেল, জানা গেল আলাদা করে। পরিবারকে সময় দেওয়া গেল। নিজের পুরনো হারিয়ে যাওয়া গুণগুলোকে খুঁজে নেওয়া গেল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই হোক না কেন – সকলের সামনে নিজেকে মেলে ধরা গেল।

সব খারাপেরই এওটা ভাল দিক থাকে – এই দিক টাকে নাহয় একটাআ ভালর রূপ দেওয়া গেল। বাকি রইল করোনা – এরকম কত কী এলো আর গেল! একটু ধৈর্য ধরে টিকে থাকলে সব লড়াই পার করা যায়; এটাও যাবে। ততক্ষন পুনর্জন্মটাকে অনুভব করা যাক মন দিয়ে…

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top