এমনও অনেক দিন আসে, যেখানে বাক্যহারা হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। কতকিছু বলতে চেয়েও মানুষ যখন পরিস্থিতির সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, একম কোনও শব্দই গুছিয়ে উঠতে পারে না, যা দিয়ে সে নিজের ভিতরটার সামান্য বর্ণনাও করে উঠতে পারে। গতকাল দিল বেচারা দেখলাম; হয়তো সুশান্ত বেঁচে থাকলে, এতটা তাড়াতাড়ি সিনেমাটা দেখতামাও না। কিন্তু, একটা নায়কের মৃত্যু আর তাকে ঘিরে আমাদের এই দেড় আসের মন খারাপ সিনেমাটার দিকে টেনে নিয়ে গেল সঙ্গে সঙ্গেই। হয়তো অনেকে আমার সাথে ভিন্ন মতামত প্রকাশ করতেও পারেন; কিন্তু তাতে তো আমার ব্যক্তিগত মতামতের গুরুত্ব হারিয়ে যায় না!
আমি সাধারণত, যে কোনও সিনেমা প্রথমবার দেখার সময় টেকনিক্যালি দেখার চেষ্টা করি না। যদি প্রথমবার দেখায় কোনও সিনেমা ভাল লেগে যায়, তাহলে সেই সিনেমাটাই দ্বিতীয়বার দেখার চেষ্টা করি টেকনিক্যালিটিস শেখার জন্যে। এবারে দিল বেচারা দেখার পর এমন কোনও ইচ্ছেই জাগল না! কান্নায় গলার কাছে দলা পাকিয়ে রইল – যখন স্ক্রিনে ভেসে উঠল – Sushant, You will always be missed.
বেশ কিছুদিন যাবতই এটা হচ্ছে, ভীষণ ইমোশনাল হয়ে পড়লে, নিজের কাজের ক্ষতি হচ্ছে। স্কেডিউল বদলে যাচ্ছে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হলো না! গতকালের রেডিও আবহ এপিসোড করতেই পারলাম না! ভিতর থেকে কেউ যেন আটকে রাখছিল! কে তা জানি না!
ক্রমশ …